হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেছেন, ২০১৩, ২০১৬ ও ২০২১ সালে হেফাজতের নেতাকর্মীদের যারা নির্মমভাবে শহীদ করেছে, আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি হেফাজতের দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ‘নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসমাবেশ’-এ সাজিদুর রহমান এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে হেফাজত মহাসচিব বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা কারিকুলাম থেকে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব বিষয় বাদ দিতে হবে। এ ছাড়া দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের এবং তাদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। এই ব্যাপারে আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
১০ আগস্ট ২৪ নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত গণসমাবেশ থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশেষ ঘোষণা পাঠ করেন হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক।
ঘোষণায় বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী সব শহীদের মাগফিরাত কামনা করছে। আহতদের সুচিকিৎসায় সরকার ইতোমধ্যে যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করছে এবং এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য হেফাজতের নেতা-কর্মী, আলেম সমাজ ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সব শাখা কমিটিকে সাধ্যমতো ভূমিকা রাখারও নির্দেশনা দিয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
২০১৩, ১৬ ও ২১ সালে নিহতদের বিচার চায় হেফাজত
- আপলোড সময় : ১০-০৮-২০২৪ ১১:৫৬:১০ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১০-০৮-২০২৪ ১১:৫৬:১০ অপরাহ্ন
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ